বিশেষ প্রতিনিধি :- সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় রুস্তমপুর ইইউনিয়নে হাদারপার বাজারের পশ্চিমে অবস্হিত এই আনফরের ভাঙ্গা । আর বিছনাকান্দি পযর্টনে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা আনফরের ভাঙ্গা। বিছনাকান্দি যাতায়াতের জন্য সিলেট আম্বরখানা টু হাদারপার পাকা সড়ক রয়েছে। তবে বিছনাকান্দি পযর্টন কেন্দ্র পৌছাতে গেলে ১.৫ কি.মি কাচা রাস্তা রয়েছে। আর সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হাদারপার বাজারে পশ্চিমে অবস্হিত আনফরের ভাঙ্গা নামক একটি জায়গা রয়েছে
যেখানে সাধারন মানুষের চলার পথ কে রুদ্ধ করে দেয় শক্তিশালী লিজ পার্টিরা !!দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ সমস্যায় জর্জরিত এই ভাঙ্গা হলো আনফরের ভাঙ্গা কেও কেও অনেক সময় বলে থাকেন চীনের দুঃ হোয়াং হো আর রুস্তমপুরের তথা বিছনাকান্দির দুঃখ আনফরের ভাঙ্গা ৷
সিলেট -(৪) আসনের সীমান্তবর্তী রুস্তমপুর ইউনিয়নের হাদার পাড় বাজারের পশ্চিম অঞ্চলে এই ভাঙ্গা ৷ যে ভাঙ্গাটিতে নির্ধারিত কোন ব্রীজ না থাকায় প্রতিবছরই একটি মহল এই ভাঙ্গাটিকে ইউনিয়ন পরিষদ কে সঙ্গে নিয়ে সরকার থেকে লিজ এনে থাকেন৷ প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও একটি শক্তিশালী মহল সেই সোনার হরিন ক্ষেত আনফরের ভাঙ্গাটি খেয়া ঘাটটির লিজ এনেছেন ৷যার মূল কারন একটি ব্রীজ না থাকা । যেটা এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী। এই আনফরের ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে রুস্তমপুর ইউনিয়নে বৃহত্তম জনগোষ্ঠী, স্কুল কলেজ পড়ুয়া হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, শহর অঞ্চলে চলাচলকারী একটামাত্র রাস্তা এই আনফরের খেয়াঘাট।তবে প্রতি বছর বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী চলাচলের জন্য একটি বাধ দেওয়া হয়, এই ভাঙ্গার ওপর লিজের মাধ্যমে।
এখানে সবচেয়ে দুঃখের ও দুর্দশার বিষয় হলো দুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ন্যাক্কার জনক ঘঠনা ৷
সিজনের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া গাছপালা/ এবং বাঁশ দ্ধারা নির্মিত বাধ যেখানে অক্ষত অবস্থায় ছিল ৷ এই বাধটির ওপর দিয়ে গৌটা ইউনিয়নের বৃহত্তর একটি জনগোষ্টি ও সর্বসাধারন এই বাধঁ দিয়ে পাড়াপাড় হয় কেউ সাইকেল কেউবা সিএনজি সহ নানাবিধ চলাফেরা করে আসছে ৷আল্লাহ প্রদত্ত সামান্য মেঘ ও বৃষ্টি দারা ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ডলে দুই কিংবা তিন দিন আগে ছোট খাট একঠি গোলা হয়েছিল
অত্র গোলা বাধের গা ছোয়ে পানি বাহির হয়ে অন্যত্র চলে যায় কিন্তু নির্ধারিত বাধঠি পুরোপুরি অক্ষত অবস্থায় ছিল ৷ প্রতিনিহিত হাজারের ও বেশি লোক এই বাধ পারিয়ে দিয়ে কেউ শহর কেউ উপজেলায় বিভিন্ন কাজে পারাপার ৷ কিন্তু এই শক্তিশালী লেইজ পার্টিরা খেয়া পারাপারের জন্য, অর্থের লোভে ভালো বাধটি রাতের আধারে দেশীয়,রড ব্যালচার মাধ্যমে গর্ত করে বাধটি ভেঙ্গে দেন ৷
এক কথায় যেখানে সাধারন মানুষের চলার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে শক্তিশালী লেইজপার্টি ৷ এখন জনসাধারণ মতে আনফরের ভাঙার বাধটির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও কোনো বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক দূ্র্যোগের বাধঁ এখনো ভাঙ্গেনি। তবে কিছু কুচক্রী মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য ২০/১০ টাকা খেওয়া ভাড়ার জন্য এই বাধঁটি ভেঙ্গে ফেলে। এলাকাবাসীর একটাই দাবী গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের কাছে এটার সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করুন ৷